ভারতের সুপ্রিম কোর্ট , ভারতের সর্বোচ্চ আদালত,
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট।সুপ্রিম
কোর্টের বিচারকদের সিদ্ধান্ত আইন বলে গণ্য হয়।
ভারতীয় যুক্তরাজ্য শাসন কাঠামো বৈধ অধিকারের
প্রশ্নে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে
সুপ্রিম কোর্ট তা নিরপেক্ষ ভূমিকা থেকে তার সমাধান করে থাকে।
সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কাজের পরিধি :
মূল এলাকা: এখানে কোন রাজ্যের যেকোনো মামলার মৌলিক বিচার কার্য করা হয়।
আপিল এলাকা: এখানে কতগুলি বিশেষ অর্থে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বা রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বা আবেদন করা যায়।
পরামর্শদান এলাকা: রাষ্ট্রপতি কতকগুলি সন্ধি, চুক্তি বা অঙ্গীকার পত্র বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ বা মতামত নিতে পারে।
নির্দেশ আদেশ বা লেখ জারি করার এলাকা:
এখানে সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকদের অধিকার রক্ষার
প্রয়োজনে চরম আদেশ, বন্দী, প্রত্যক্ষীকরণ,
প্রতিষেধ, উৎপ্রেষন, অধিকারপৃচ্ছা ইত্যাদি নির্দেশ বা আদেশ জারি করতে পারে।
সুপ্রিমকোর্টকে ভারতীয় সংবিধানের রক্ষক-
সংরক্ষক- ব্যাখ্যা কর্তা এবং অভিভাবক বলা হয়।
ভারতের বিচার ব্যবস্থা হলো একক সংযুক্ত বা অখন্ড বিচার ব্যবস্থা।
ভারতের অখন্ড বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট স্থাপিত হয়েছিল 1774 খ্রিস্টাব্দে কলকাতায়।
ভারতীয় সংবিধানের 124N--147N ধারায় ( part -V) সুপ্রিম কোর্টের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।
স্বাধীন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট উদ্বোধন হয় 1950 সালে 28শে জানুয়ারি।
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা 31 জন
একজন প্রধান বিচারপতি ও 30 জন সহকারি বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কে নিয়োগ করে রাষ্ট্রপতি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হবার জন্য
একজন ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে পাঁচ বছরের কাজের
অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা পাঁচ বছর
অ্যাডভোকেট হিসাবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়স 65 বছর।
সংসদের প্রস্তাব অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ইমপিচমেন্ট পদ্ধতির
মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের পদচ্যুত করা যায়।
Comments
Post a Comment
"Leave a comment below. I’d love to hear from you!"