'আমরা , ভারতের জনগণ , ভারতকে একটি সার্বভ্রম,
সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্রর
রূপে গড়ে তুলতে এবং তার সকল নাগরিকই যাতে
সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ,
ন্যায়বিচার,চিন্তা, মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং
উপাসনার স্বাধীনতা, সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও
সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা এবং তাদের সকলের মধ্য
ব্যক্তির মর্যাদা এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহিতা
সুনিশ্চিতকরণের মাধ্যমে তাদের মধ্যে যাতে ভাতৃত্বের
ভাব গড়ে ওঠে তার জন্য সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ
করে, আমাদের গণপরিষদে আজ, ১৯৪৯ সালের ২৬
শে নভেম্বর, এতদ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ, বিধিবদ্ধ
এবং নিজেদের অর্পণ করছি।"
"ভারতীয় নাগরিকের মৌলিক অধিকার"
সাম্যের অধিকার
স্বাধীনতার অধিকার
শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার
ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার
সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার
সাম্যের অধিকার :
আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এবং আইন সকলকে
সমানভাবে রক্ষা করবে।
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নারী-পুরুষ, জন্মস্থান প্রভৃতি কারণে
রাষ্ট্র কোন নাগরিকের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ
করবে না।
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যোগ্যতা অনুসারে সকলের
সমান অধিকার ।
অস্পৃশ্যতা নিষিদ্ধ এবং আইন অনুসারে দণ্ডনীয় অপরাধ।
সামরিক কিংবা শিক্ষা বিষয়ক ব্যতীত রাষ্ট্রীয় উপাধি প্রদান নিষিদ্ধ।
স্বাধীনতার অধিকার :
বাক স্বাধীনতা ও মতামত প্রকাশের অধিকার।
শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্রভাবে সমবেত হওয়ার অধিকার।
সংঘ ও সমিতি গঠনের অধিকার।
ভারতের সর্বোচ্চ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার অধিকার।
ভারতের যে কোন স্থানে স্বাধীনভাবে বসবাস করার অধিকার।
যেকোনো জীবিকা ,পেশা বা ব্যবসা-বাণিজ্য করার অধিকার।
জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার।
রাষ্ট্র ছয় থেকে 14 বছর বয়স্ক প্রতিটি শিশুর জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করবে।
শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার :
কোন ব্যক্তিকে ক্রয় বিক্রয় করা বা বেকার খাটানো যাবে না।
চোদ্দ বছরের কম বয়স্ক শিশুদের খনি, বা অন্য
কোন বিপদজনক কাজে নিযুক্ত করা যাবে না।
ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার :
সকল ব্যক্তিই সমানভাবে বিবেকের স্বাধীনতা অনুসারে ধর্ম স্বীকার, ধর্ম চারণ এবং ধর্ম প্রচারে স্বাধীনতা ভোগ করবে।
কোন বিশেষ ধর্ম বা সম্প্রদায়ের প্রসার বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোন সম্প্রদায় বা ব্যক্তিকে কর দিতে বাধ্য করা যাবে না।
রাষ্ট্র পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার :
সকল শ্রেণীর নাগরিক নিজস্ব ভাষা,লিপি ও সংস্কৃতির
বিকাশ ও সংরক্ষণ করতে পারবে।
রাষ্ট্র পরিচালিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার লাভার ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে ধর্ম, জাতি বা ভাষার অজুহাতে বঞ্চিত করা যাবে না।
ধর্ম অথবা ভাষাভিত্তিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলি নিজেদের পছন্দমত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও
পরিচালনা করতে পারবে।
মৌলিক কর্তব্য
ভারতীয় সংবিধান ধারা 51 A
সংবিধানের প্রতি আনুগত্য, সাংবিধানিক আদর্শ ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধ।
মহৎ যেসব আদর্শ স্বাধীনতা সংগ্রামী আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে তাদের লালন ও অনুসরণ।
ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতি রক্ষা।
আহ্বান এলে দেশ রক্ষা ও জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ করা।
ভাষা-ধর্ম-অঞ্চল-শ্রেণি নির্বিশেষে ভারতের জনগণের মধ্য পারস্পরিক ঐক্য চেতনা ও ভ্রাতৃত্ববোধ উদ্বোধন।
দেশের মিশ্র সংস্কৃতির মূল্যবান উত্তরাধিকারের মুহূর্ত উপলব্ধি ও সংরক্ষণ।
অরণ্য, হ্রদ, নদনদী, বন্যজীবনসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন এবং প্রাণী জগতের প্রতি সহানুভূতি পোষণ।
বিজ্ঞানমনস্কতা, মানবতাবাদ, অনুসন্ধান ও সংস্কারের বিকাশ।
সরকারি সম্পত্তির রক্ষা করা ও হিংসা পরিহার করা।
জাতি যাতে নিয়ত তার কর্মোদ্যম ও সাফল্যের উচ্চ স্তরে পৌঁছাতে পারে জীবনের সব ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও সমবেত প্রয়াসে উৎকর্ষের সেই লোককে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা।
পিতা-মাতা অভিভাবকের দায়িত্ব ছয় থেকে চোদ্দ বছর বয়স্ক শিশুদের শিক্ষা সুযোগের ব্যবস্থা করা।
Comments
Post a Comment