ঈদুল আযহা, কোরবানি কী, কেন কোরবানি করা হয়, কোরবানি করার অর্থ কী?
কোরবানি.......
আমাদের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে দ্বিতীয়টি হল ঈদুল আযহা, অর্থাৎ কোরবানি। ইসলামিক চন্দ্র ক্যালেন্ডারের শেষ মাস অর্থাৎ জিলহজ মাসের 10 তারিখে এই 'ওয়াজিবটি" আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়ে থাকে। যা চলতে থাকে জিলহজ মাসের 13থেকে 14 তারিখ পর্যন্ত।
কোরবানির দিন ভোরের নামাজের পর সকালবেলায় আমাদের সমস্ত মুসলিমরা এক "বিশেষ প্রার্থনা" অর্থাৎ কোরবানির নামাজের মধ্য দিয়ে এই কোরবানির দিনটি শুরু করে থাকে। তারপর যে যার সামর্থ অনুযায়ী বিভিন্ন পশু আল্লাহর জন্য কোরবানী করে।
কোরবানি- এটি আমাদের মুসলিম জাতির পিতা "ইব্রাহিম খলিলুল্ল"অর্থাৎ 'হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম' থেকে এসেছে । এই কোরবানি অর্থাৎ "ঈদুল আযহা" এর অর্থ হল ত্যাগ। ত্যাগের উৎসব। কুরবানী সম্পর্কে পবিত্র "আল কুরআনে" এবং সহি হাদিসে অনেকিই নির্দেশনা রয়েছে অনেকে। সূরা হজ্জের 36 এবং 37 নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে -
{আর (কুরবানির) উটগুলোকে আমি করেছি, আল্লাহর নির্দেশসমূহের অন্যতম। তাতে তোমাদের জন্য কল্যাণ আছে। কাজেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো অবস্থায় ওগুলোর ওপর তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। যখন তা পার্শ্বভরে পড়ে যায়, তখন তা থেকে খাও আর যারা (ভিক্ষা না ক'রে) পরিতৃপ্ত থাকে তাদেরকে আর যারা কাকুতি মিনতি ক'রে যাঞা করে তাদেরকেও খাওয়াও। এভাবে আমি ওগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছি যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
আল্লাহর কাছে ওগুলোর না গোস্ত পৌঁছে আর না রক্ত পৌঁছে বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবে তিনি ওগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে পারো এজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন, কাজেই সৎকর্মশীলদের তুমি সুসংবাদ দাও।}
আমরা আমাদের কোরবানিতে পশুর গোস্ত গুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করে থাকি , একটি ভাগ দিয়েদিই গরিব মানুষের জন্য। আর একটি ভাগ আমরা আমাদের আত্মীয়স্বজনদের দিই , আর অবশিষ্ট একটি ভাগ আমরা নিজেদের জন্য রেখে থাকি । তবে কেউ ইচ্ছা করলে পুরোটাই গরিবদের দিতে পারে ।
এই হচ্ছে কোরবানি।
Comments
Post a Comment