ভারতের প্রতিবেশী দেশ ও তাদের আমদানি, রপ্তানি

 ভারতের প্রতিবেশী দেশের সংখ্যা 9টি। এরা হল—

[1] বাংলাদেশ, [2] মায়ানমার, [3] নেপাল, [4] ভুটান,[5] পাকিস্তান, [6] আফগানিস্তান, [7] শ্রীলঙ্কা, [৪] মালদ্বীপ, [9] চিন।

ভারতকে ঘিরে 9 টি প্রতিবেশী দেশ রয়েছে। তাদের মধ্যে পূর্বদিকে → বাংলাদেশ, মায়ানমার, পশ্চিমদিকে → পাকিস্তান,আফগানিস্তান, উত্তরদিকে → নেপাল, ভুটান, চিন ও দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ অবস্থিত।

9টি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের স্থলভাগের সীমানাযোগ রয়েছে। সেগুলি হল – [1] বাংলাদেশ, [2] নেপাল,[3] ভুটান, [4] চিন, [5] পাকিস্তান, [6] আফগানিস্তান এবং[7] মায়ানমার।

পশ্চিমবঙ্গ; [1] বাংলাদেশ, [2] নেপাল, [3] ভুটান—এই তিনটি প্রতিবেশী দেশের সীমান্তকে স্পর্শ করে আছে। এবং জম্মু-কাশ্মীর: [1] চিন, [2] পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশের সীমান্তকে স্পর্শ করে আছে।


প্রতিবেশী দেশ নেপাল__

নেপালের প্রধান কৃষিজ ফসলসমূহ হল—ধান, গম, পাট,তামাক, নীল, তৈলবীজ, ভুট্টা, ডাল, আখ প্রভৃতি।  এ ছাড়া, এখানে বিভিন্ন ধরনের ফল, যেমন—কমলালেবু, আনারস প্রভৃতি উৎপাদিত হয়। নেপালে কিছু চা বাগিচাও রয়েছে।নেপাল ভারত থেকে যেসব দ্রব্য আমদানি করে সেগুলি হল—তৈলবীজ, ডাল, কাঁচা পাট, চামড়া প্রভৃতি।

নেপাল ভারতে যেসব জিনিস রপ্তানি করে সেগুলি হল— গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ, তুলা, রাসায়নিক সার, পোশাক প্রভৃতি।

 স্থলপথে নেপালের সঙ্গে ভারতের লেনদেন হয়।বিহারের রক্সৌল, যোগবাণী ও নেপালের বিরাটনগরের মাধ্যমেউভয় দেশের মধ্যে পণ্য বিনিময় হয়।

প্রতিবেশী দেশ ভূটান__

ভুটান ভারত থেকে যেসব দ্রব্য আমদানি করে সেগুলি
হল—কাগজ, ওষুধ, কয়লা, ইস্পাত, চিনি ইত্যাদি এবং যেসব দ্রব্য রপ্তানি করে সেগুলি হল—বড়ো এলাচ, বিভিন্ন রকমের ফল,জ্যাম, জেলি, পশম ও পশমজাত দ্রব্য ইত্যাদি।

 ভুটানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম কুলা কাংড়ি (উচ্চতা
17554 মিটার)।
ভুটানের দীর্ঘতম নদীর নাম মানস (376 কিমি)।
ভুটানের রাজধানীর নাম থিম্পু।
ভুটানের কৃষিজ দ্রব্য হল বড়ো এলাচ, ধান, গম, ভুট্টা,
আলু প্রভৃতি।

প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ__

বাংলাদেশ ভারত থেকে যেসব দ্রব্য আমদানি করে
সেগুলি হল কয়লা, কার্পাস সুতো, ইস্পাত, মোটরগাড়ি,
রেলইঞ্জিন, শস্যবীজ, চিনি, লবণ, রাসায়নিক দ্রব্য, খনিজ তেল প্রভৃতি।
বাংলাদেশ ভারতে যেসব দ্রব্য রপ্তানি করে সেগুলি
হল—পাট ও পাটজাত দ্রব্য, সুপারি, প্রাকৃতিক গ্যাস, সুতির পোশাক, মাছ, চামড়া, কাগজ, তামাক, ইলিশ  মাছ প্রভৃতি।
 বাংলাদেশের উচ্চতম শৃঙ্গের নাম কেওক্রাডং (উচ্চতা
1230 মিটার)।
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদীর নাম পদ্মা-মেঘনা।
বাংলাদেশের প্রধান বন্দরগুলির হল কর্ণফুলি নদীর খাড়িতে অবস্থিত [1] চট্টগ্রাম বাংলাদেশের
প্রধান বন্দর। [2] মংলা (চালনা) বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বন্দর।এ ছাড়া, [3] বরিশাল, [4] সদরঘাট (ঢাকা) বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বন্দর।

প্রতিবেশী দেশ মায়ানমার___

মায়ানমার ভারত থেকে যেসব দ্রব্য আমদানি করে সেগুলি হল—সুতো ও সুতিবস্ত্র, পাটজাত দ্রব্য, কয়লা, ইস্পাত, যন্ত্রপাতি,রাসায়নিক দ্রব্য, কাগজ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম প্রভৃতি।
মায়ানমার ভারতে যেসব দ্রব্য রপ্তানি করে সেগুলি হল—
চাল, সেগুন কাঠ, টিন, সিসা, মূল্যবান পাথর, টাংস্টেন, রুপো প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।মায়ানমার খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দেশ। খনিজ তেল, টিন,সিসা, দস্তা, ম্যাঙ্গানিজ, টাংস্টেন, রুপো, মূল্যবান রত্ন পদ্মরাগমণি,প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ এখানে উত্তোলিত হয়।   মায়ানমারকে সেগুন কাঠের দেশ বলে।                 কারণ মায়ানমার হল অরণ্যসমৃদ্ধ দেশ এবং এখানকার পার্বত্য অঞ্চলে আছে চিরসবুজ অরণ্য এবং ওই অরণ্যে অত্যন্ত মূল্যবান সেগুন গাছ।
সেগুন কাঠ। 

প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান____

পাকিস্তান ভারত থেকে প্রধানত যেসব দ্রব্য আমদানি করে সেগুলি হল—–কয়লা, চা, চিনি, লোহা ও ইস্পাত, যন্ত্রপাতি, অভ্র, রাসায়নিক দ্রব্য, কেন্দুপাতা (বিড়িপাতা) প্রভৃতি। 
পাকিস্তান ভারতে যেসব দ্রব্য রপ্তানি করে সেগুলি হল—–তুলা, চামড়া, পশম, খনিজ লবণ, শুকনো ফল, সিমেন্ট প্রভৃতি।
গম এবং তুলো—এই দুটিই পাকিস্তানের প্রধান কৃষিজ
ফসল। এ ছাড়াও এখানে যথেষ্ট পরিমাণে ধান, জোয়ার, বাজরা, ভুট্টা, আখ, তামাক এবং বিভিন্ন ধরনের ফল, যেমন—আপেল, বেদানা, আঙুর, পিচ, খেজুর প্রভৃতি উৎপাদিত হয়।
পাকিস্তানের উচ্চতম শৃঙ্গ হল তিরিচমির (উচ্চতা 7,690
মিটার), দীর্ঘতম নদী সিন্ধু (332 কিমি) এবং রাজধানী
হল ইসলামাবাদ।
 পাকিস্তানের কয়েকটি খাল হল – [1] ইরাবতী নদীর
দোয়াৰ খাল, [2] চন্দ্রভাগা নদীর উচ্চ ও নিম্ন চন্দ্রভাগা খাল, [3] বিতস্তা নদীর উচ্চ ও নিম্ন বিতস্তা খাল, [4] সিন্ধু খাল প্রভৃতি।

প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা___

শ্রীলঙ্কা ভারত থেকে যেসব দ্রব্য আমদানি করে সেগুলি
হল—চিনি, ইস্পাত, কয়লা, পাটজাত দ্রব্য, বস্ত্র, ওষুধ ইত্যাদি।
এ ছাড়া শ্রীলঙ্কা ভারতে যেসব দ্রব্য রপ্তানি করে সেগুলি
হল—লবঙ্গ, দারুচিনি, গ্রাফাইট, চামড়া, মূল্যবান রত্ন প্রভৃতি।
শ্রীলঙ্কা কৃষিপ্রধান দেশ। এখানে উৎপাদিত প্রধান প্রধান
কৃষিজ ফসল হল—ধান, চা, রবার, তামাক, নারকেল, দারুচিনি, লবঙ্গ, ভুট্টা, তৈলবীজ, কলা, মিলেট প্রভৃতি।

 শ্রীলঙ্কার কয়েকটি খনিজ সম্পদের নাম গুলি হল
 শ্রীলঙ্কায় প্রচুর গ্রাফাইট এবং অল্প পরিমাণ বক্সাইট ও
চুনাপাথর পাওয়া যায়। এ ছাড়াও এখানে কয়েকটি মূল্যবান রত্ন পাওয়া যায়। যেমন—নীলকান্তমণি, পদ্মরাগমণি, বৈদূর্যমণি প্রভৃতি।
দারুচিনির চাষ


Comments

  1. আমার পোস্টটি দেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

ঈদুল আযহা, কোরবানি কী, কেন কোরবানি করা হয়, কোরবানি করার অর্থ কী?

দর্শন কী ? আজকে আলোচনা করবো দর্শন বিষয় নিয়ে , আপনি কি জানেন দর্শন কথার অর্থ কি? এটি কোথা থেকে কি ভাবে এসেছে ,?

भारत का आयात और निर्यात, भारत के पड़ोसी देश और उनके आयात-निर्यात